অটোগ্যাসের বাজার সম্প্রসারণে একসাথে কাজ করবে বেক্সিমকো এলপিজি ও যমুনা ওয়েল

digitalsomoy

বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট ১ লিমিটেড ও যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে আজ (বুধবার) একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে বেক্সিমকো এলপিজি যমুনা ওয়েল কোম্পানির রেজিস্টার্ড ফিলিং ষ্টেশনগুলোতে এলপিজি পাম্প স্থাপন ও অটোগ্যাস বিক্রয় করতে পারবে। সকাল ১১ টায় যমুনা ওয়েল কোম্পানির আগ্রাবাদে অবস্থিত চট্টগ্রাম অফিস, যমুনা ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

এই চুক্তি দেশজুড়ে যানবহনে ব্যবহারের জন্য অটোএলপিজি গ্যাসের প্রাপ্তি বাড়াবে। চুক্তি অনুসারে, স্থাপিত পাম্পগুলো থেকে বিক্রিত প্রতি লিটার এলপিজি গ্যাসের বিপরীতে যমুনা ওয়েল ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন প্রত্যেকে ৫০ পয়সা করে রয়্যালটি পাবে। বর্তমানে দেশজুড়ে যমুনা অয়েল কোম্পানির ৭৫০ টি অনুমোদিত পেট্রোল পাম্পের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক আছে যেখানে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে বেক্সিমকো এলপিজি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ৫০০ টি এলপিজি পাম্প ও ২৫ টি রূপান্তর কর্মশালা পরিচালনার অনুমোদন পায়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যমুনা ওয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গিয়াস উদ্দিন আনচারী ও বেক্সিমকো এলপিজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল রায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় যমুনা ওয়েল কোম্পানির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (এইচআর) মো. মাসুদ করিম, ডিজিএম (ফাইন্যান্স) খসরু আজাদ, ডিজিএম (একাউন্টস) মো. মাসুদুল ইসলাম, ডিজিএম (পিএন্ডডি) মো. জসীম উদ্দীন, ডিজিএম (সেলস) মো. আব্দুস সবুর খান, এজিএম (অডিট) আরশাদ আজগর চৌধুরী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া বেক্সিমকো এলপিজির পক্ষ থেকে সেলস ও মার্কেটিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার মেহেদী হাসান, বিজনেস ডেভেলপমেন্টের হেড তাসনুভা চৌধুরী ও চট্টগ্রামের রিজিওনাল ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালীন বেক্সিমকো এলপিজির সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, “যমুনা অয়েল কোম্পানির সঙ্গে এই চুক্তি দেশের স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি খাতের দ্রুত অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে অবস্থান করবে। বেক্সিমকো এলপিজি প্রোপেন এবং বিউটেনের সর্বোত্তম মানের এলপিজি মিশ্রণ সরবরাহ করে যাতে জ্বালানী প্রয়োজনীয় অকটেন নম্বরে পৌঁছায় এবং গাড়ির ইঞ্জিনের কোন ক্ষতি না করে।”