শেখ কামাল কর্মের মাধ্যমেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন, আইসিটি বিভাগের সভায় বক্তারা 

digitalsomoy

 জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে  এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

শুক্রবার (৫ আগস্ট)  বিকেলের এ  অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন।

 আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ ,প্রধান আলোচক ছিলেন আইজিডব্লিউ অপারেটর্স ফোরামের চেয়ারম্যান এ কে এম সামসুদ্দোহা।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাপ্টেন কামাল ছিলেন আধুনিক মনস্ক বন্ধুবৎসল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি তরুণদের আধুনিক ও সংস্কৃতি মনস্ক করার জন্য একদিকে যেমন আবাহনী ক্রীড়াচক্র গঠন করেছিলেন তেমনি স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যেখানে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার এবং বাংলা গানে ফিউশনের প্রচলন ঘটান।

তিনি বলেন, শেখ কামালের কর্মময় জীবনকে সবার কাছে তুলে ধরতে সুস্থ্য ক্রিড়া ও বিনোদনের বিকাশের ও প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন । এসময় তরুণদের জীবনমুখী কারিগরি জ্ঞান ও বিশ্বে চাহিদা সম্পন্ন সফট স্কিল গড়ে তুলতে হাইটেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে ‘নির্মল তারুণ্যের অগ্রদূত’ অভিহিত করে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, নিজ গুণের কারণেই তাকে আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিড়া সংগঠক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে তৈরি করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার। এখান থেকেই তৈরি হবে হাজার হাজার, লক্ষ্য লক্ষ্য শেখ কামাল।

সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ক্ষণজন্মা শেখ কামাল যে আদর্শ রেখে গেছেন, প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, দেশের প্রতি অবদান রেখেছেন, ব্যক্তি জীবনে তা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই নতুন প্রজন্ম তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। তিনি শেখ কামাল কর্মের মাধ্যমেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।