জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচারণ করে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে বাধা দিয়েছেন এসিল্যান্ড।
পরে সাংবাদিকরা বিষয়টি সেই এসিল্যান্ডের কাছে জানতে চাইলে কোনো কথা না বলে তার সরকারি গাড়িতে উঠে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, সকালে ওই ভোট কেন্দ্রের একটি কক্ষে ইভিএমে প্রতীক না আসার অভিযোগ তোলেন ভোটাররা। বিষয়টি নিয়ে জানতে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা-উল হুসনা দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদকর্মীকে ছবি-ভিডিও ধারণে বাধা প্রদান করেন এবং উচ্চস্বরে অসদাচাণসহ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। এরপর সেই সাংবাদিকরা নিচে নেমে সিনিয়র সাংবাদিকদের জানান। সেখানে থাকা ১০-১৫ জন সাংবাদিক এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলার জন্য আধাঘণ্টা অপেক্ষা করেন। পরে এসিল্যান্ড দোতলা থেকে নিচে নেমে এলে ঘটনার কারণ জানতে চাওয়া হয়, কিন্তু তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে তড়িঘড়ি করে পুলিশি পাহারায় চলে যান।
পরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কিছু জানার থাকলে নির্বাচনের পর অফিসে আসবেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শীতেষ চন্দ্র সরকারকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, গোপন বুথের ভিডিও ও ছবি তোলা যাবে না। এছাড়া গণমাধ্যমকর্মীরা সবকিছুর ভিডিও ও ছবি তুলতে পারবেন। তবে একটি কেন্দ্রে বেশি সময় অবস্থান করতে পারবেন না। সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।