যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পেল সিডিনেট কমিউনিকেশনস

digitalsomoy

সাবমেরিন ক্যাবল (বাঘা-১) উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত করতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি সিডিনেট কমিউনিকেশনস লিমিটেডকে অনুদান প্রদান করেছে ইউএস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ)।

ইউএসটিডিএ এবং সিডিনেট ষষ্ঠ ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে তাদের অনুদান চুক্তি সই করেছে, যেখানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

এর মাধ্যমে সিডিনেট বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সাবমেরিন ক্যাবল (বাঘা-১) উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত করতে কাজ করবে। সাবমেরিন ক্যাবল শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের মান উন্নত করবে এবং ক্ষমতা বাড়াবে। সিডিনেট ফ্লোরিডা-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এপিটি টেলিকমকে এই সমীক্ষা পরিচালনা করার জন্য নির্বাচিত করেছে।

অনুষ্ঠানে ইউএসটিডিএ-এর পরিচালক এনোহ টি. ইবং বলেন, ইউএসটিডিএ ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে সিডিনেট-এর মতো অংশীদারদের সঙ্গে সাবসি ক্যাবল প্রকল্পগুলোর একটি পোর্টফোলিও তৈরি করছে যারা নির্ভরযোগ্য সাবসি ফাইবার অপটিক কেবল সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের দেশের ব্রডব্যান্ড ক্ষমতা প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এজেন্সি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী, মার্কিন বেসরকারি খাত, মার্কিন সরকারি সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ,সম্পদ এবং ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সমমনা ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের একটি অংশীদারিত্ব-ভিত্তিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে যা বাঘা-১ এর মত প্রকল্পগুলো সাফল্যের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।

সাবমেরিন ক্যাবল গুলো বিশ্বব্যাপী যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঘা-১ বাস্তবায়িত হলে, কেবলটি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যান্ডউইথের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করবে, যা নিরাপদ উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত করতে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল অবকাঠামোর স্থিতি বাড়াতে সাহায্য করবে। ইউএসটিডিএ-এর গবেষণা বাংলাদেশে একটি নির্ভবযোগ্য সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম স্থাপনের জন্য সবচেয়ে কৌশলগত পথ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সকল সম্ভবনা মূল্যায়নে সিডিনেট-কে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে সিডিনেটটের পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সারাফাত বলেন, বাঘা-১ বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে এবং ফাইভ-জি পরিষেবা, আন্তর্জাতিক ডেটা সেন্টার এবং আন্তর্জাতিক হাইপারস্কেলারের জন্য উদীয়মান ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে।     

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ইউএসটিডিএর সম্ভাব্যতা যাচাই বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং গুণমানের ভিত্তি স্থাপন করবে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আরও সংযুক্ত হয়ে একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি মার্কিন ব্যবসায়কে সাহায্য করতে পেরে গর্বিত।

ইউএসটিডিএ সাধারণত বৈশ্বিক অবকাঠামো এবং বিনিয়োগের জন্য অংশীদারিত্ব, ডিজিটাল সংযোগ এবং সাইবার নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব এবং  ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সমৃদ্ধি প্রকল্পের প্রস্তুতির মত বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকার ভিত্তিক লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিতে  গবেষণা করে থাকে।