সড়কের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা তরুণীর পরিচয় এখনো মেলেনি। তবে এ সময় তার পাশে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা দেড় বছর বয়সী শিশুটি হাত ও পা নাড়াচ্ছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার।
হাত-পা নাড়ালেও বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর আড়াইটায় পর্যন্ত শিশুটির জ্ঞান ফেরেনি বলে জানিয়েছেন মমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শামীউল আলম সিদ্দিকী শামীম। শিশুটি এই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এখন।
অধ্যাপক ডা. মো. শামীউল আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শিশুটির প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জেনেছি তার কোনো অস্ত্রোপচার লাগবে না। সে এখন আগের চেয়ে ভালো আছে, হাত ও পা নাড়ছে। তবে এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। আশা করা যায় শিশুটি শঙ্কামুক্ত।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৯ মে) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কাছিয়াকান্দা এলাকার একটি কাঁচা সড়কের পাশ থেকে মাথায় আঘাত পাওয়া আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ সময় ওই তরুণীর পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় একটি শিশুও উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে মমেক হাসপাতালে শিশুটিকে দেখভাল করছেন কাছিয়াকান্দা গ্রামের ইউপি সদস্য রোস্তম আলী ও স্থানীয় বাসিন্দা সুজাত মিয়া।
এদিকে অজ্ঞাত তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মৃত তরুণীর মাথায় আঘাতের জখম রয়েছে। এটি সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলমান আছে। ইতোমধ্যে তরুণীর মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পরিচয় শনাক্তের পর এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ওসি।