বাংলাদেশ-তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তুরস্কের কোনিয়া প্রভিন্সের বেশেহির মিউনিসিপ্যালিটি এবং বাংলাদেশ অনারারি কনসাল, কোনিয়ার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, বেশেহিরের মেয়র আদিল বায়িনদির, বাংলাদেশের অনারারি কনসাল মিজ ডেনিজ বুলকুর এবং দূতাবাস ও মিউনিসিপালিটির অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
রোববার ( ২ জুন) তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, বেশেহিরের দৃষ্টিনন্দন শাপলা লেক এলাকায় বৃক্ষ রোপন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বেশেহিরের মেয়র। এরপর বেশেহির লেকে একটি নৌকাভ্রমণের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় ফুল এবং জাতীয় প্রতীক শাপলার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানটিকে 'বাংলাদেশ শাপলা দিবস' নামকরণ করা হয় বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে মিউনিসিপ্যালিটি কার্যালয়ে একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বেশেহিরের মেয়র বলেন, বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে যে সম্পর্কটি রয়েছে তা ভ্রাতৃত্বের এবং হৃদয়ের। যখন দুটি দেশ হৃদয় দিয়ে সংযুক্ত হয় তখন সে সম্পর্ক প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে থাকে। বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার এ সম্পর্ক তেমনি শক্তিশালী এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক ও মানুষ থেকে মানুষের সংযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে মেয়র এবং অনারারি কনসালের প্রতি চমৎকার আয়োজনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সম্পর্কের গভীরতা অনেক এবং ঐতিহাসিক বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ দূতাবাস দুদেশের কূটনীতি, সংস্কৃতি, ব্যবসা বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এরপর শিশু কিশোরদের তোলা ছবি এবং অংকন নিয়ে আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতার প্রদর্শনী হয়। যেটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বেশেহিরের মেয়র।
প্রতিযোগিতায় ছয় থেকে চৌদ্দ বছরের অর্ধশতাধিক শিশু, কিশোর-কিশোরী অংশগ্রহণ করে। এরপর বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় ।
অনুষ্ঠানে আরও ছিল একটি মিউজিক স্কুলের বাচ্চাদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন রকম বাদ্য যন্ত্র দ্বারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনপ্রিয় গান পরিবেশন। অনুষ্ঠানটি শেষাংশে অনলাইনে প্রারম্ভিক স্তরের বাংলা ভাষা শিখেছেন এমন পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। উক্ত পঞ্চাশজন বাংলাভাষা শিক্ষার্থী বাংলাদেশ-তুরস্কের ৫০ বছর পূর্তিকে নির্দেশ করে।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠান দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দান করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে শেষ হয়।