জমি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনায় পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ থাকলে তা দ্রুত বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। সোমবার (২৪ জুন) বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন।
বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভায় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমানসহ আট জেলার জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানেরা অংশগ্রহণ করেন।
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিভাগের আট জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জমিসহ ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে এবং এখন তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করছে যাতে করে তারা খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে কোনো স্থাপনা করা হলে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান সেখানে পরিষেবা দেবে না।
এসব ক্ষেত্রে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অবৈধ স্থাপনায় থাকা পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সকল সরবরাহ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন।
রাজশাহী বিভাগে চলমান সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনাকালে বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ূন কবীর বলেন, ইতোমধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অনাবশ্যক ব্যয় পরিহার করতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সশরীরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণের নির্দেশ দেন। প্রকল্প ব্যয় ও মেয়াদ যাতে পরে বাড়াতে না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকারও পরামর্শ দেন বিভাগীয় কমিশনার।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে রাসেলস ভাইপার সাপের প্রচারণা ও এর উপদ্রপ বিষয়ে- বিভাগীয় কমিশনার সচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার ও জনসাধারণের মাঝে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণের নির্দেশ দেন।