লায়লার মামলায় টিকটকার মামুনের জামিন

digitalsomoy

বান্ধবীর করা ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের (২৫) জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  সোমবার (১ জুলাই) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

সোমবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ। এরপর তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।  

পরদিন তার বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ।  

এরপর সেই নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। আজ শুনানিকালে বাদী আদালতে হাজির ছিলেন। এ সময় তার আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।  

এর আগে গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী লায়লা আক্তার ফারহাদ।  

মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়।

পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। তিনি আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই। পরে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে।  

ওইদিন থেকে মামুন আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। এ সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই আমার বাসায় এসে থাকতেন। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।