কোপা আমেরিকায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ব্রাজিল। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।প্রথমার্ধের শুরুতেই এগিয়ে জয় ব্রাজিল ম্যাচের ১২ মিনিটে ডিবক্সের অনেকটা বাইরে ফ্রিকিক আদায় করে ব্রাজিল। সেখান থেকে ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গারের দুর্দান্ত এক বাঁকানো ফ্রিকিক। কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ক্যামিলো ভারগাসের কোনো সুযোগই ছিল না সেই ফ্রি-কিক ঠেকাবার।
তবে প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে কলম্বিয়া। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে এসে ব্রাজিলকে বিপদে ফেলে দেন ড্যানিয়েল মুনোজ। ডানপ্রান্তে ওভারল্যাপ করেছিলেন ক্রিস্টাল প্যালেসের এই রাইটব্যাক। হামেস রদ্রিগেজ নিজেই খানিকটা সরে এসে জায়গা করে দেন তাকে। গোলের জন্য পাসটাও বাড়িয়েছিলেন কলম্বিয়ান নাম্বার টেন। সহজ এক পাস থেকে অ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করতে বেগ পেতে হয়নি মুনোজের। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর দুই দলই গোলের জন্য সমান তালে লড়াই চালিয়ে যায়। তবে গোলমুখ খেলতে পারেনি কোনো দলই। ফলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টারে নাম লেখায় কলম্বিয়া। ৫ পয়েন্ট নিয়ে রানারআপ হয়ে পরের রাউন্ডে গেলো ব্রাজিল।
কলম্বিয়া পুরো ম্যাচেই আগ্রাসী ফুটবল খেলেছে। ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলে তো বোঝা যায়। তারকায় ঠাসা ব্রাজিল যেখানে গোলে শট নিতে পেরেছে মোটে ৭ বার, সেখানে কলম্বিয়ার শট ১৩ বার। বল দখলেও দুই দল সমান সমান। ব্রাজিল ৫০.৯% বল পায়ে রেখেছে।
দ্বিতীয়ার্ধে তামন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ব্রাজিল। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গতি কমতে থাকে দুই দলের খেলার। বাকি সময়ে গোলের খুব ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই।
ম্যাচ জুড়ে রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানানো ব্রাজিল শেষ বাঁশি বাজানোর পর কর্নারের দাবিতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে কলম্বিয়ার একজন হেড করে মাঠের বাইরে পাঠান। কর্নার না দিয়ে সময় শেষের ইশারা দিয়ে সেখানেই ম্যাচের সমাপ্তি টানেন রেফারি।
শেষ আটের লড়াইয়ে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে কলম্বিয়া। টানা ২৬ ম্যাচ ধরে অপরাজিত দলটি খেলবে পানামার বিপক্ষে। ব্রাজিলের জন্য অপেক্ষায় দারুণ ছন্দে থাকা উরুগুয়ে।
একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে প্যারাগুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কোস্টা রিকা। একটি করে জয় ও ড্রয়ে তারা হয়েছে তৃতীয়। তিন হারে শূন্য হাতে ফিরেছে প্যারাগুয়ে।