প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি, দেশীয় পণ্যের ব্রান্ডিংয়ের মাধ্যমে সরকারের ‘গ্রাম হবে শহর’ চিন্তাকে এগিয়ে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
শনিবার (২২ মে) দেশের নারী উদ্যোক্তাদের জনপ্রিয় সংগঠন উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) ১১তম মাসিক মাস্টারক্লাসে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
কে এম খালিদ বলেন, আমি উইয়ের কার্যক্রম দেখি নিয়মিত, দেশের নারী উদ্যোক্তারা যেভাবে দেশীয় পণ্য এবং দেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করছেন আমি ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত। প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। চাকরির প্রত্যেকটি নিয়োগে ১০ শতাংশ কোটা রাখারও প্রস্তাবনা সরকারকে জানাবেন বলে জানান তিনি। এছাড়া তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার তাঁতীদের উইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানে কাজ করবার কথা জানান।
মাস্টারক্লাসে অনলানে যুক্ত ছিলেন এলআইসিটি প্রজেক্টের সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্র্যান্ডিং স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম, উইয়ের বৈশ্বিক উপদেষ্টা ও সিল্কক গ্লোবাল লিমিটেডের সিইও সৌম্য বসু, উইয়ের উপদেষ্টা কবির সাকিব, উইয়ের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা।
এবারের মাস্টারক্লাসের কি নোট সেশনটি পরিচালনা করেন দি শেপার্ড অব রিডার্সবার্গ এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রুতি কোহলি। আর আর গ্রুপের সহযোগিতায় মাস্টারক্লাসের এবারের বিষয় ছিলো, ‘Storytelling way of problem analysis and Solving’, ।গল্প বলে বিক্রি বাড়ানোর বেশ কিছু পথ বাতলে দেন শ্রুতি কোহলি। পাশাপাশি নতুনদের জন্য ফেসবুক, লিংকডইন ও ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি ও ব্যবসার প্রসার বাড়ানোর কিছু নির্দেশনাও দেন তিনি।
এবারের মাস্টারক্লাস বিষয়ে নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, আমরা প্রশিক্ষণে চেয়েছি উদ্যোক্তাদের ভেতরের কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনতে, বিভিন্ন সেলস ফানেল সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে কী চলছে সেটা জানাতে। আশা করছি এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবাই সেটা জানতে পেরেছেন।