ডিজিটাল সময়’র জন্মকথা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা

digitalsomoy

‘ডিজিটাল সময়’ নামে আমার কোন পত্রিকা করার কথা ছিলো না। মূলত; ২০০৬ সাল থেকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে ব্রান্ডিং করার পরিকল্পনা করি এবং ২০০৮ সালের মাঝামাঝি আমি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর কমন সবগুলো ডোমেইন কিনি। এ নামে একটি পত্রিকা করারও উদ্যোগ নিই। এখানে উল্লেখ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ নামটি প্রথম যার মাথায় আসে তিনি শ্রদ্ধেয় মোস্তফা জব্বার ভাই। ২০০৮ এর ১/১১ সরকারের সময় সবকিছু যখন একপ্রকার উলোট-পালট সে বছরের শেষ দিকে পত্রিকার আবেদনটি করি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি অর্থনৈতিক যোগান না থাকায় কাজটি ওভাবে আগায়নি। এদিকে ২০০৮ এর নির্বাচন এসে পড়ে। আওয়ামীলীগ 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' নির্বাচনী ইশতেহার দিয়ে বাজিমাৎ করে এবং ক্ষমতায় আসে। কার্যক্রমে গতি আসে এবং আমার আবেদনটি ডিএফপিতে যায় নামের ছাড়পত্রের জন্য। এক পর্যায়ে দেখি তারা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় নিয়ে নিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম তারা এ নামটি দিতে অপারগ! গেলাম ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের কাছে কারণ তিনি তথন তথ্য মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনি যতোটা আন্তরিকভাবে বলা যায় বলেছেন ডিজি কামরুন নাহার ম্যাডামকে কে। ডিজি মহোদয় ডেকে বললেন স্যার সাধারণত কারো জন্য সুপারিশ করে না আপনার জন্য করেছেন দিতে পারলে আমারই ভালো লাগতো। কিন্তু উপর থেকে মোখিক নির্দেশ আছে নামটি দেয়া যাবে না। আমার মনটা বেশ খারাপ হলো! কাদের ভাই এর কথায় কাজ হলো না আর যাবোই বা কার কাছে? আমাদের সময়’র একটি সাপ্তাহিক প্রকাশনা হিসাবে ‘ডিজিটাল সময়’র প্রকাশনা শুরু করে বন্ধুবর নাজমুল হক শ্যামল। তখন আমাদের সময় সম্ভবত দ্বিতীয় সার্কুলেটেডে পত্রিকা। ফলে ‘ডিজিটাল সময়’ ম্যাগাজিনও মোটামুটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। আমি নিজেও এর নিয়মিত পাঠক ছিলাম।

ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে যেহেতু পত্রিকার ছাড়পত্র পাবো না ডিজি মহোদয় বললেন আপনি ২য় নামটি নিয়ে যান। কাকতালীয়ভাবে ২য় নামটি ছিলো ‘ডিজিটাল সময়’। আমি বললাম এ নামে আমাদের সময় একটি ম্যাগাজিন বের করে তাই আগ্রহ নেই। তিনি বললেন সে তারা করতে পারে তবে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমি শ্যামল ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম, দেখেন নাঈম ভাই কে বলে যদি আমার নামটা নিয়ে দিতে পারেন আমার ইচ্ছাটাও পূর্ণ হয় আপনার সাথেও কনফ্লিক্ট হয় না। শ্যামল ভাই সব শুনে বললেন, কাদের ভাই এর কথায় যেখানে হয়নি নাঈম ভাই সেখানে কিছুই না। আপনি নিয়ে নেন কোন সমস্যা নেই। আমি শীঘ্রই ছেড়ে দিবো। ফলে আমি ‘ডিজিটাল সময়’ নামের ছাড়পত্র নিয়ে নিলাম। এর ২ মাস পর মাসিক ডিক্লারেশনও পেয়ে গেলাম। এ খবর আমাদের সময় অফিসে জানাজানি হলে চতুর নাঈম ভাইয়ের বুদ্ধিতে তারা ‘আমাদের ডিজিটাল সময়’ নামে পত্রিকা বের করতে শুরু করলো। অবশ্য ততদিনে শ্যামল ভাই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলো। তাদের এ ধরনের কার্যক্রমে আমি বিব্রতবোধ করলাম এবং প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলাম। তিনি নাঈম ভাই কে ‘বিনা অনুমতিতে পত্রিকা প্রকাশের দায়ে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না’ মর্মে নোটিশ জারি করেন। নাঈম ভাই চালাক মানুষ নোটিশটি গ্রহণ করেননি, তবে পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করেছেন। যেহেতু আমি আমার সমাধান পেয়ে গেছি বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করার দরকার হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে আমি দৈনিক হিসাবে ডিক্লারেশন নিই।

মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিলো ন্যাশনওয়াইড একটি অনলাইন পত্রিকার পরিকল্পনা যেখানে স্ব স্ব জেলার সংবাদ আপডেট হবে উক্ত জেলা থেকে। অর্থনৈতিক কারণে সেটি আর হয় নি এবং পরবর্তীতে কাংখিত নাম না পাওয়ায় কার্যক্রম আগায়নি। তবে আমরা সিদ্ধান্তু নিয়েছি ‘ডিজিটাল সময়’ নামেই আমরা তখনকার পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করবো। মূলত 'ডিজিটাল সময়' হবে একটি ব্যতিক্রম অনলাইন মিডিয়া যেখানে ট্রেডিশনাল চিন্তাভাবনার বাহিরে কিছু থাকবে। এদিকে যেহেতু দৈনিক পত্রিকার অনুমোদন নেয়া আছে নিয়মিত না পারলে অনয়িমিতভাবে হলেও আমরা পত্রিকাটির প্রকাশনা চালাবো।

এ ব্যাপারে সকলের পরামর্শ, সহযোগিতা এবং দোয়া চাই।

www.digitalsomoy.com