৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে ফরিদপুরে

digitalsomoy

ফরিদপুরে মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের দাবিতে শুরু হয়েছে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই পরিবহন ধর্মঘট আগামী শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

এই ধর্মঘটে আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাস বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি সরকারি পরিবহন বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) বাস চলাচলও বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর বিআরটিসি বাস পরিবহনের সহকারী পরিচালক মামুন হাসান গণমাধ্যমে বলেন, শুক্র ও শনিবার ফরিদপুর থেকে সব পথে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কে সব প্রকার অবৈধ থ্রি-হুইলার বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। আমরাও এ দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।

এর আগে ১০ নভেম্বরের মধ্যে বেশ কিছু দাবির বাস্তবায়ন চেয়ে জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের প্যাডে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়।

এতে জানানো হয়, দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১১ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত টানা ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলবে।

ওই সময় চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গত ২০২০ সালের ২৯ মে তারিখের সভার সিদ্ধান্ত নম্বর ১৩ মোতাবেক সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সকল প্রকার অবৈধ থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্র, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল) চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এসব অবৈধ যান মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণবঙ্গের আঞ্চলিক ও দূরপাল্লায় পরিবহন চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত নানা প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এমতাবস্থায় যাত্রী সাধারণের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ যাতায়াতের জন্য ১০ নভেম্বরের মধ্যে গৃহীত সিদ্ধান্ত আপনার মাধ্যমে বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায়, শুক্রবার সকাল ৬টা হতে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লা পরিবহনের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বেসরকারি বাসের পাশাপাশি দুই দিন বিআরটিসি বাস বন্ধ করার কারণ বিএনপির গণসমাবেশকে বাধা দেয়া। কিন্তু এতে বিএনপির গণসমাবেশে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা বাধা পেলেই মানুষ বেশি বের হয় বাঁধ ভাঙার জন্য। তবে সমস্যা ও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে যাত্রী সাধারণকে।