কীভাবে বুঝবেন স্মার্টফোন হ্যাক হয়েছে

digitalsomoy

ঘুম ছাড়া দিনের বেশিরভাগ সময়েই আমরা স্মার্টফোনের সঙ্গে থাকি এ তথ্য গবেষণায়ও প্রমাণিত। ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই বেড়ে চলেছে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি।অনেক সময় অবহেলা বা নজর না দেওয়ার কারণেই ঘটে বিপত্তি। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা স্মার্টফোন হ্যাক হওয়ার পেছনে কয়েকটি সাধারণ কারণ চিহ্নিত করেছেন, যা আগে থেকে জানা থাকলে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।

১. অতিরিক্ত তাপ
ফোন হ্যাক হলে ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায় এবং ডিভাইস অস্বাভাবিকভাবে গরম হয়ে ওঠে। কারণ, ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্ষতিকর সফটওয়্যার অবিরাম কাজ করতে থাকে। ধারাবাহিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যারের উপস্থিতির সম্ভাবনা থাকে।

২. বাড়তি কলচার্জ
আক্রান্ত ফোন হঠাৎ করেই বেশি ডেটা খরচ করতে শুরু করে। এতে প্রিমিয়াম সার্ভিস বা আন্তর্জাতিক কলের জন্য অতিরিক্ত চার্জ কেটে নেওয়া হতে পারে—যা সাধারণত আপনার অনুমতি ছাড়া হয়।

৩. অনিয়ন্ত্রিত অ্যাডওয়্যার
পপ-আপ বিজ্ঞাপন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলে এবং ব্রাউজার ব্যবহার না করলেও যদি বিজ্ঞাপন আসে, তবে এটি অ্যাডওয়্যার সংক্রমণের ইঙ্গিত হতে পারে।

৪. বহুরূপী অ্যাপ
ফোনে অচেনা অ্যাপ নিজে থেকেই ইনস্টল হতে শুরু করলে তা হ্যাকিংয়ের স্পষ্ট লক্ষণ।

৫. হগিং রিসোর্স
কারণ ছাড়াই ডিভাইস ধীরগতির হয়ে গেলে ম্যালওয়্যার রিসোর্স দখল করে রেখেছে বলে সন্দেহ হতে পারে।

৬. অদ্ভুত ফোনকল
হ্যাক হওয়া ফোন থেকে নিজে থেকেই অচেনা নম্বরে কল বা মেসেজ যেতে পারে। পরিচিত কারও কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেলে সতর্ক হওয়া জরুরি।

এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে যেমন অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা, সন্দেহজনক অ্যাপ মুছে ফেলা, সফটওয়্যার আপডেট রাখা এবং প্রয়োজনে ডিভাইস রিসেট করা। এতে হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।