প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে সরকার বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ে হিমশিম খাচ্ছে। একই সঙ্গে, আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধের চাপও বেড়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে মাত্র ২০.২৭ কোটি ডলার, তবে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৪৪.৬৬ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ঋণ পরিশোধের চাপে চলতি মাসে বিদেশি মুদ্রা প্রবাহের চেয়ে ঋণ পরিশোধের চাহিদা বেশি। এর মধ্যে সুদ ও মূল অর্থ পরিশোধ অন্তর্ভুক্ত।
এ সময়ে ঋণ প্রতিশ্রুতি আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। জুলাইয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি এসেছে ৮.৩৪ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের ১.৬৪ কোটি ডলারের তুলনায় ৪০৯ শতাংশ বৃদ্ধি।
আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে প্রকল্প বাস্তবায়ন খুব কম। মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫.৬৪ কোটি টাকার বরাদ্দের মধ্যে জুলাইয়ে খরচ হয়েছে মাত্র ১,৬৪৫ কোটি টাকা, যা মাত্র ০.৬৯ শতাংশ। এর ফলে এডিপি বাস্তবায়নের হার সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম।
বিদেশি ঋণ নির্ভর প্রকল্পগুলোর অর্থছাড়ও আগের বছরের তুলনায় কমেছে। জুলাইয়ে অর্থছাড় হয়েছে ২০.২৭ কোটি ডলার, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৩৫.৮৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে অর্থছাড়ের হার প্রায় ৪৩ শতাংশ কমেছে।
আইএমইডি এবং ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে উন্নয়ন কর্মসূচি ও ঋণ পরিশোধের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।